বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
সৈয়দ জিহাদ: দক্ষিনাঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিসেবায় সর্ববৃহৎ হাসপাতাল হিসেবে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেশ পরিচিত। বর্তমানে সরকার স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করলেও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে দেখা যায় বহু অনিয়ম আর দুর্নিতির কারবার।অ-স্বাস্থ্য পরিবেশে চলে চিকিৎসা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ,শিশু ওয়ার্ডে তিল পরিমান জায়গা নাই।এছাড়া ঐ ওয়ার্ডের ধারন ক্ষমতার চেয়ে ২০ গুন বেশি শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।দেখা যায় ,টয়লেট এর পাশে ও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে ভুক্তভোগী শিশুদের।বর্তমানে দিন দিন ,শিশুদের রোগ বালাই পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলছে।বর্তমানে দক্ষিনাঞ্চেলের একটি মাএ হাসপাতাল দিয়ে, পটুয়াখালী বাকেরগজ্ঞ,বরগুনা,ঝালকাঠী ভোলা সহ বিভিন্ন জেলার মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।এতে হাসপাতাল ভিতর হ য ব র ল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।বর্তমানে আজকের শিশুরাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। কিন্ত এই শিশুরা উঠতি বয়স থেকেই পুষ্টিহীনতা ও নানা রোগ বালাইয়ের ভিতর দিয়ে বড় হয়ে উঠ।অনেক বাবা- মা মেডিকেল থেকেই সন্তানহারা হয়ে শোকে মাতম থাকে।এ ব্যপারে তজুমদ্দিন থেকে আসা এক শিশুর মা জানান,আমি আমার ২ বছরের শিশুটি কে নিয়ে আজ পাঁচ দিন যাবৎ হাসপাতাল এর বারান্দায় আছি।কোন রকম সুচিকিৎসা পাইনা।সকাল ১১.০০ টায় কয়েকজন ডক্টর আসে রাউন্ডে অসংখ্য রোগীর আহাজারি আমি আমার সন্তান নিয়ে আশংকায় আছি।এভাবে অনেক ভুক্তভোগী পিতা মাতারা হাসপাতালের দরজায় ঘোরপাক খাচ্ছে। বর্তমানে সেবার আওতাধীন যে চিকিৎসালয় গুলো রয়েছে, রোগীদের অতিরিক্ত চাপের কারনে তারা হিমশিম খাচ্ছে। এদের দুর্ভোগ কমাতে প্রতিটি জেলায়_উপজেলায়য় মান সম্মত হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরী। শের-ই-বাংলা মেডিকেলের সকল পরিসেবার কার্যক্রম গতিশীল রাখতে পারলে,কেউ ভোগান্তির স্বীকার হবেনা।এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতাল এর পরিচালক,ডাঃবাকির হোসেন এর কাছে সাক্ষাত করতে গেলে তাকে পাওয়া জায়নি।তাই শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর চাপ কমাতে ও জনদূর্ভোগ বিবেচনা করে বরিশালের সমমানের স্বাস্থ্য পরিসেবার ন্যয় দক্ষিনাঞ্চলে বাকেরগঞ্জে, পটুয়াখালী অথবা বরগুনাতে একটি স্বতন্ত্র শিশু হাসপাতাল ও সরকারী মেডিকেল হাসপাতাল স্থাপন অতি আবশ্যক।
435 total views, 1 views today