বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বাংলাদেশে সাতজন মারা গেছে এবং ৩১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এরপরও বরিশালের দৃশ্যত লকডাউন জোরদার হচ্ছে না! করোনা সংক্রামণ রোধে ঘরে থাকার নির্দেশনা অনেকেই মানছে না। মূলত নাগরিকরা লকডাউন অমান্য করে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। তারা ঘরে অবস্থান না করে প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশালে অনেকেই পেটের দায়ে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। আবার অনেকেই বাজার বা আড্ডার দেওয়ার জন্য বের হচ্ছে। করোনা সংক্রামণ রোধে সরকার বরিশালসহ সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মানুষকে ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউন জোরদার না হওয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। সুত্র অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা রোগী ঢাকায় শনাক্ত হয়েছে। বরিশাল জেলায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২০ জন। ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় শনাক্তের সংখ্যা ৭৬৩। ঢাকার পর এই বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে শনাক্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি নারায়ণগঞ্জে। এরপর গাজীপুর ও নরসিংদীতে। এই তিন জেলায় শনাক্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩০৯, ১৬১ ও ৯৩ জন। বরিশাল নগরীর রিক্সা চালক হারুনের সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, পেটের ক্ষুধার রিক্সা নিয়ে বাইরে বের হয়েছি। কাজ না করলে খাবো কি? ত্রাণ তো পাই না। তবে অনেকেই কোন কোন দিন ভাত দিয়ে যান। কিন্তু সেই একবেলা খেয়ে কি আর বেঁচে থাকা যায়? তাই বাধ্য হয়েই রিক্সা নিয়ে বাইরে বের হই। অন্যদিকে ঘরে থাকা মানুষরা চা-সিগারেটে এবং বাজারের জন্য বাইরে বের হচ্ছে। বরিশাল নগরীর পাড়া-মহল্লায় পূর্বের মতো বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রীতিমতো আড্ডা হচ্ছে এবং ফাঁকা রাস্তায় শিশুদের ক্রিকেট খেলতেও দেখা গেছে। কাঁচাবাজারে আগের মতো ক্রেতাদেরকে দেখা গেছে। এদিকে প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে কঠোর ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এদিকে বার বার মাইকিং করে পুলিশ সেনাবাহিনী জানাচ্ছে ,আপনারা সবাই নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করুন আপনি সুস্থ থাকুন আপনার পরিকারকে সুস্থ রাখুন কিন্তু তা মানছে না। এদিকে যখনই প্রশাসনের সামনে পরে তখনই পুলিশের সাথে চোর পুলিশ খেলা শুরু করে, এব্যাপারে এক পুলিশ কর্মকর্তার কথা বলে জানা যায় আমরা যেটা করতে চাই ঠিক উল্টো হচ্ছে। যদি এই ভাবে চলতে থাকে তাহলে সামনে খুবই খারাপ সময় অপেক্ষা করছে। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজন মারা গেছে। ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯১ জনে। আর করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩১২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৪৫৬ জনে।
163 total views, 1 views today